ঢাকা , বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ , ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এইচএমপিভি নিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর দরকার নেই, বার্তা মমতার

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক
আপলোড সময় : ০৭-০১-২০২৫ ০৪:০৩:৫৯ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ০৭-০১-২০২৫ ০৪:০৩:৫৯ অপরাহ্ন
এইচএমপিভি নিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর দরকার নেই, বার্তা মমতার
‌চীনে হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস (এইচএমপিভি) সংক্রমণ নিয়ে এখন সব দেশেই খুব আলোচনা হচ্ছে, আতঙ্কও ছড়াচ্ছে। মূলত গোটা বিশ্বই এখন চিন্তিত এইচএমপিভি নিয়ে। প্রতিবেশী ভারতেও শনাক্ত হয়েছে এই ভাইরাস।
মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকসহ দেশটির বেশ কিছু রাজ্যে সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। এমন অবস্থায় এই ভাইরাস নিয়ে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার বার্তা দিয়েছেন দেশটির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। বস্তুত ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বেঙ্গালুরুর পর কলকাতায়ও ঢুকে পড়েছে নতুন ভাইরাস এইচএমপিভি। সোমবার কলকাতায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে এক শিশুর শরীরে শনাক্ত হয় এ ভাইরাস। তবে এ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই বলে জানিয়েছেন মমতা। পশ্চিমবঙ্গের এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “‌এইচএমপিভি নিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর দরকার নেই। এই বিষয়ে বৈঠক করে মুখ্যসচিব গাইডলাইন ঠিক করেছেন। অন্য কোনও গাইডলাইন এলে রাজ্য সরকার সেটাও মানবে। রাজ্য প্রশাসন সবসময় মানুষের সেবায় তৈরি রয়েছে।”‌

সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে বলছে, এইচএমপিভি সম্ভবত বহু শতক ধরে রয়েছে এবং প্রায় সব মানুষই তাদের জীবনে অন্তত একবার এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ২০০১ সালে নেদারল্যান্ডসে একদল গবেষক এইচএমপিভিকে চিহ্নিত করেন। কিন্তু তার অনেক আগে থেকেই এই ভাইরাস মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে। সম্প্রতি চীনের ন্যাশনাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন জানিয়েছে, তারা নিউমোনিয়া আক্রান্তদের ক্ষেত্রে একটি নতুন প্রোটোকলের পরীক্ষা করছে। এরপরই এইচএমপিভি নিয়ে মানুষ উদ্বিগ্ন হন।

চীনের সরকারি মিডিয়া সিসিটিভি-তে প্রচারিত সাংবাদিক সম্মেলনে চীনের স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছেন, শীতের মৌসুমে বেশ কয়েকটি সাধারণ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষ যেন এর মোকাবিলায় অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধের ওপর নির্ভর করেন। সংবাদমাধ্যম বলছে, নেদারল্যান্ডসের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ২০০১ সালে শিশুদের শ্বাসযন্ত্রে প্রথম এই ভাইরাসের হদিশ পান। যদিও ২৪ বছর অতিক্রান্ত হলেও এই ভাইরাসের কোনও টিকা বের হয়নি।

তবে সেরোলজিক্যাল গবেষণায় দেখা গেছে, মেটানিউমো–ভাইরাস কমপক্ষে ৬০ বছর ধরে পৃথিবীতে আছে। সাধারণ শ্বাসযন্ত্রের প্যাথোজেন হিসাবে সেটা সারা বিশ্বে ছড়িয়েছে। বিশেষ করে শীতকালে এই ভাইরাসের সংক্রমণ বেশি দেখা যায়।
টিএম

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dinajpur TV

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ